আশাশুনিতে রিং বাঁধ ভেঙে তিন গ্রাম প্লাবিত

সাতক্ষীরার আশাশুনির প্রতাপনগরে রিং বাঁধ ভেঙে তলিয়ে গেছে ৩ গ্রামের নিন্মাঞ্চল। আজ শুক্রবার (১০ সেপ্টেম্বর) দুপুরে প্রতাপনগর ইউনিয়নের হরিষখালী মানিক হাওলাদারের বাড়ির সামনে থেকে রিং বাঁধ ধসে পড়ে।

গ্রামবাসী জানায়, গত তিন চার দিন ধরে নদীতে জোয়ারের পানি অস্বাভাবিকভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে। এতে এলাকার মানুষের মনে শঙ্কা বিরাজ করছিল। এরই মাঝে শুক্রবার জুমার নামাজ শেষে মুসল্লিরা যখন মসজিদ থেকে বের হয় হঠাৎ করে রিংবাঁধটির বড় একটি অংশ ধসে পড়ে।

স্থানীয় মানিক হাওলাদার জানান, ঘূর্ণিঝড় আম্ফানে বেড়িবাঁধ ভেঙে গেলে হাওলাদার বাড়ির সামনে দিয়ে রিং বাঁধ দেওয়া হয়। ঘূর্ণিঝড় ইয়াসের পর সংস্কার কারা রিং বাঁধটি শুক্রবার ভেঙে যায়। স্থানীয়দের স্বেচ্ছাশ্রমে কোনো রকমে রিং বাঁধটি টিকিয়ে রাখা হলেও খোলপেটুয়া নদীতে পানির চাপে সেটি আজ দ্বিতীয়বারের মতো ভেঙে যায়।

হরিষখালী জামে মসজিদের ইমাম হাফেজ বাবুল হোসেন বলেন, আম্পানের পর সমতল জমিতে দীর্ঘ দশ মাস জোয়ার-ভাটা ওঠানামা করায় অধিকাংশ জমিতে খালের সৃষ্টি হয়। শক্ত মাটি না পওয়ায় এ অঞ্চলের অধিকাংশ রিং বাঁধ বালি দিয় তৈরি করা হয়েছিল। জোয়ারের পানির অস্বাভাবিক বৃদ্ধিতে বালির তৈরি রিং বাঁধ হঠাৎ করে ধসে পড়েছে।

প্রতাক্ষদর্শীরা বলেন, আনুমানিক ৫০ ফিট জায়গা জুড়ে রিং বাঁধ ধসে পড়েছে। ধসে পড়া স্থান দিয়ে নদীর পানি প্রবেশ করে তার ইউনিয়নের ৩টি গ্রামের নিন্মাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে।

প্রতাপনগর পূর্ব, প্রতাপনগর পশ্চিম ও মাদারবাড়িয়া এ তিনটি গ্রামের পনি ঢুকে পড়লেও নদীতে ভাটা শুরু হলে পানি নেমে যাবে। ভাটার টানে পানি নেমে যাওয়ার সাথে সাথে স্বেচ্ছাশ্রমে রিং বাঁধ মেরামত করার জন্য স্থানীয় লোকজন ডাকা হয়েছে। এলাকার মাত্রাতিরিক্ত ক্ষয় ক্ষতির খবর পাওয়া যায়নি।

Full Video


ভালো লাগলে শেয়ার করুন

এটা দেখেছেন কি? দেখে নিন